Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত – Pratidin Sangbad

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ‘স্বাধীনতা ভবন’, মোহাম্মদপুরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় স্বাধীনতা ভবনে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বাধীনতা ভবন ও অন্যান্য ভবনে আলোকসজ্জা ও ব্যানার প্রদর্শন, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার সকাল ৯:০০ এবং ১০:০০ ঘটিকায় যথাক্রমে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় স্বাধীনতা ভবনে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হুইলচেয়ারধারী, খেতাব প্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত খেতাব প্রাপ্ত, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম মাহাবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট্রের সচিব (উপসচিব) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীরপ্রতীক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রশিক্ষণহীন নিরস্ত্র বাঙালিরা যেভাবে একটি সুশৃঙ্খল অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে তেমন সংগ্রামের দৃষ্টান্ত বিরল। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়। বাঙালি লাভ করে চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্ত সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।